Saturday, July 23, 2016

NEWS

চার নম্বর ঘাট দিয়ে সীমিত যান চলাচল শুরু

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের চার নম্বর ঘাট দিয়ে সীমিতভাবে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রাত পৌনে দশটার দিকে এই যান চলাচল শুরু হয়। তবে এখনো দুটি ঘাট পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আর তিন নম্বর ঘাট দিয়ে আগে থেকেই সীমিতভাবে যান চলাচল চালু ছিল।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে জানান, পৌনে দশটার দিকে কে টাইপ ফেরি ‘কপোতীর’ মাধ্যমে সীমিতভাবে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, আজ রাতের মধ্যেই একটি ঘাট চালুর জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে সব ঘাট চালুর জন্য সংস্কার কাজ চলার মধ্যেই পদ্মায় আবারও ভাঙন শুরু হয়। সোমবার দিবাগত রাতে ১ ও ২ নম্বর ঘাট এলাকার আরও প্রায় ১২০ ফুট অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গত ২৭ জুলাই দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ঘাটটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৩১ জুলাই ২ নম্বর এবং ৫ আগস্ট ১ নম্বর ঘাটেও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত কয়েক দিন ধরে ৩ নম্বর ঘাটের একটি মাত্র র‌্যাম দিয়ে কোনোরকমে ছোট গাড়ি আর অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছিল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, সোমবার দিবাগত রাতে ১ নম্বর ফেরিঘাট সড়ক ও ঘাটের প্রায় ৮০ ফুট অংশ পদ্মায় বিলীন হয়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই নম্বর ঘাটটি কিছুটা ঠিক করা হলেও, ভাঙন অব্যাহত থাকায় এবং তীব্র স্রোতের কারণে রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি ফেরি ভেড়ার চেষ্টা করেও পারেনি। রাতে ওই ঘাটের আরও প্রায় ৪০ ফুট নদীতে ভেঙে যায়।
দুই নম্বর ঘাটের পন্টুনের লস্কর শামসুল আলম জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঘাটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে ফেরি ভেড়ানোর নির্দেশ পেলে রাত সাড়ে আটটার দিকে কেটাইপ ফেরি ‘কপোতী’ যাত্রী ও ছোট গাড়ি নিয়ে ঘাটে ভেড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘাটে তীব্র স্রোতে ‘আলাদ’ (বিশেষ ধরনের রশি) ছিঁড়ে ফেরিটি ভাটিতে ভেসে যায়। পরে চেষ্টা করে তিন নম্বর ঘাটে ভেড়ানো হয়।
ঘাটের এই অচলাবস্থা না কাটায় দৌলতদিয়ায় আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিন শতাধিক যানবাহন আটকে ছিল। এর মধ্যে শতাধিক বাস ও ট্রাক আটকে রয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। একেকটি ফেরি ঘাটে ভিড়ছে প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা পর। এতে তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা থেকে আসা ট্রাক চালক মিঠু সরদার জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তারা ঘাটে যানজটে আটকা পড়েন। ফেরির টিকিট হাতে পাওয়ার পরও ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিতে বড় গাড়ি পারাপার বন্ধ হওয়ায় ঘাটেই পড়ে আছেন। যশোর থেকে সবজি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘাটে পৌঁছে ট্রাক চালক খোকন নদী পাড়ি দিতে না পেরে, বাধ্য হয়ে পরদিন কম দামে কাঁচা পণ্যগুলো রাজবাড়ী গিয়ে বিক্রি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ‘৩ নম্বর ঘাটের আংশিক দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি পারের সঙ্গে ৪ নম্বর ঘাটটি মঙ্গলবার রাতে চালুর চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ২ নম্বর ঘাটটি মোটামুটি চলাচলের উপযোগী থাকলেও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি ভিড়তে না পারায় কার্যত বন্ধ রয়েছে। আর ১ নম্বর ঘাটের ভাঙন অব্যাহত থাকায় সেটি এই মুহূর্তে চালু করা যাচ্ছে না।’
এদিকে, ঘাট ও সড়ক মেরামতে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ঘাটের ভাঙন ঠেকাতে গাব গাছের বল্লি ও বাঁশ দিয়ে পাইলিং করা হয়েছে। এই পাইলিং টিকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ ছাড়া সড়কের কাজে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে তার মানও ভালো নয় বলে জানান তারা।
সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক সর্দার আবদুল জববার বলেন, ‘বর্তমানে অধিকাংশ ইটভাটা তলিয়ে গেছে। ভাটা থেকে জরুরি কাজে এই ইট আনা হয়েছে। তবে প্রথম শ্রেণির না হলেও খারাপ ইট নয়।’
সওজ রাজবাড়ীর উপসহকারী প্রকৌশলী ও কাজের তদারকি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান দাবি করেন, বৃষ্টি ও বন্যার পানি পাওয়ায় ইটের রং এ রকম দেখা যাচ্ছে। তবে মান খারাপ মানতে নারাজ তিনি। দুই একটির সমস্যা থাকতে পারে। এ জন্য কাজের কোনো ক্ষতি হবে না বলে তিনি জানান।

  পানি পরীক্ষায় ব্যর্থ গ্যালাক্সি এস–৭ অ্যাকটিভ!


 স্যামসাংয়ের পানিরোধী স্মার্টফোন পানিতে নিমজ্জন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। পরীক্ষাটি পরিচালনা করেছিল নেতৃস্থানীয় পণ্য পর্যালোচনা ওয়েবসাইট কনজ্যুমার রিপোর্ট। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-৭ অ্যাকটিভ ফোনটিকে একটি পানিভর্তি ট্যাংকে রাখার পর তা অকার্যকর হয়ে যায়। ট্যাংকটিতে কৃত্রিমভাবে পাঁচ ফুট পানি রাখার মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়। পণ্য পর্যালোচনার ওয়েবসাইট কনজ্যুমার রিপোর্টস একইভাবে এর আরও একটি ফোনে পরীক্ষা চালায় এবং সেটিও ব্যর্থ হয়।

তবে স্যামসাং বলেছে, এটা সম্ভবত ত্রুটিপূর্ণ ফোনসেট ছিল। তাই এটা শতভাগ জলরোধী হতে পারেনি।
আধা ঘণ্টা পানিতে রাখার পর প্রথম ফোনসেটের পর্দা কাজ করছিল না, সবুজ রেখা দেখা যাচ্ছিল। ক্যামেরা লেন্স থেকে বুদ্‌বুদ বের হচ্ছিল। দ্বিতীয় সেটটিতেও একই সমস্যা ছিল।
এস-৭ অ্যাকটিভের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এটি পানিরোধক। স্যামসাংয়ের ওয়েবসাইটেও লেখা রয়েছে গ্যালাক্সি এস সেভেন ‘অ্যাকটিভ আইপি ৬৮’ সত্যায়িত। এটি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাচ্ছে না।
ছয় বছর আগে আইফোন ফোর এসের অ্যান্টেনায় যে সমস্যা ছিল, সেটা অ্যাপল স্বীকার করার আগেই কনজ্যুমার রিপোর্ট শিরোনাম করে ফেলেছিল। ফোনসেট নির্মাতারা যখন তাদের পণ্যকে পানি প্রতিরোধী বলে প্রচার করে, তখন কনজ্যুমার রিপোর্ট সাধারণত সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়।
স্যামসাং বলেছে, তারা কিছু সেট নিয়ে এ রকম অভিযোগ পেয়েছে এবং সেটগুলোতে যেহেতু ওয়ারেন্টি দেওয়া, তাই তারা এ সমস্যার সমাধানও করে দিচ্ছে। অ্যাকটিভ মডেলের সেটটি জুন মাসে দ্রুত বিক্রীত পণ্যের কাতারে ছিল।
সূত্র: বিবিসি

কামরাঙ্গীরচরে পোশাক কারখানায় আগুনে দগ্ধ ৬

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ছোট দুটি পোশাক কারখানায় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আগুন লাগে। এতে ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গতকাল রাতে দুটি ছোট পোশাক কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে ছয়জন দগ্ধ হয়। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
মুস্তাফিজের বোলিং বুঝছে না সতীর্থরাই!

 মুস্তাফিজ তাঁর সব সতীর্থকে তখনো চিনে উঠেছেন কি না বলা কঠিন। মুস্তাফিজকে বাকিরা চেনেন নিশ্চয়ই। মানুষ মুস্তাফিজকে চিনলে কী হবে, মুস্তাফিজের বোলিং যে চিনতে আর বুঝতে পারছেন না তাঁর সতীর্থরাই! কাল ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লুক রাইট বিশেষ করে পিঠ চাপড়ে দিলেন উইকেটকিপার ক্রেগ কাচোপার। কাচোপা যেন ঠিকঠাক উইকেটের পেছনে বলগুলো ধরতে পেরেছেন মুস্তাফিজের! 

রাইট বলেছেন, ‘ও কী করতে যাচ্ছে এটা বোঝা খুব কঠিন। অনুশীলনে আমরা চেষ্টা করছিলাম ওর বোলিং বোঝার। কিন্তু পারিনি। আমাদের কিপার ক্রেগ কাচোপাকে বাহবা দিতেই হবে ও আজ বেশ ভালো কিপিং করেছে। আগে ওর বোলিং আমরা দেখিনি বা খেলেনি। তাই কাজটা একদমই সহজ ছিল না।’
মুস্তাফিজের কাজটাও কত কঠিন ছিল মনে করিয়ে দিয়েছেন রাইট। সোজা উড়ে এসে দ্রুত সবকিছু মানিয়ে নিয়ে এমন ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্স। রাইট তাই বললেন, ‘ও কালকেই (পরশু) বিমানে করে উড়ে এসেছে। এরপর সোজা মাঠে নেমে এমন বোলিং। সত্যিই আমরা খুবই স্পেশাল একটা প্রতিভা পেয়ে গেলাম।’

 Agrani Bank Limited jub Circular

  https://erecruitment.bb.org.bd/onlineapp/appform.php

হঠাৎ প্রিজমার আলোড়ন

প্রকাশের সপ্তাহ পাঁচেকের মধ্যেই ৪০টির বেশি দেশে ছবিতে বিশেষ আবহ (ইফেক্ট) যোগ করার অ্যাপ প্রিজমা অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের তালিকার শীর্ষে চলে আসে। ৭৫ লাখের বেশিবার নামানো এই অ্যাপ প্রতিদিন ব্যবহার করছে প্রায় ১৫ লাখ ব্যবহারকারী। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের নিউজফিডেও দেখা যায় ‘প্রিজমা ইফেক্ট’। অ্যাপটি শুধু অ্যাপলের আইওএস ব্যবহারকারীর জন্য হওয়ায় অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ দেখা যায়। অনেকে আবার এটাকে ‘ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা ভাইরাসের মতোই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মজা করতেও ছাড়েননি অনেকে।

ফেসবুকে কেউ কেউ মজা করে লিখছেন, সেই আশির দশক থেকেই বাংলাদেশে প্রিজমা ইফেক্ট চলে আসছে। কারণ, রিকশাচিত্রের ধরনটাও এমনই। অনেকে বলছেন, ভালো ছবি নষ্ট করে ফেলছে প্রিজমা অ্যাপ।
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে অ্যাপটির একটি পরীক্ষামূলক অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ প্রকাশ করে রাশিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রকাশেরই পরপরই তা বন্ধ করে প্রিজমা এআইয়ের ফেসবুক পাতায় লেখা হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তারা সংগ্রহ করেছে। এই মাসের শেষ নাগাদ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য প্রিজমার একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্করণ প্রকাশ করা হবে।
ব্যবহারকারীদের তালিকায় সাধারণ মানুষ তো বটেই, আছেন বলিউড-হলিউডের তারকারাও। এদিকে আলবার্ট আইনস্টাইনের পাতা থেকেও তাঁর একটি ছবি প্রিজমা অ্যাপে ইফেক্ট দিয়ে প্রকাশ করা হয়। প্রিজমা অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে ছবি তুলে চিত্রকর্মে পরিণত করে। ছবি বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। টেক ক্রাঞ্চকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্সি মইসিকোভ বলেন, ‘একজন চিত্রশিল্পী যেভাবে আপনাকে দেখে কিংবা ছবি দেখে ছবি আঁকেন, আমরা সেভাবে ছবি তৈরি করি।’

 সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়া শহরের বজলুর মোড় এলাকায় গতকাল বুধবার ইজিবাইকের ধাক্কায় এক শিশুর প্রাণ গেছে। একই দিন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মাহেন্দ্রর ধাক্কায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয়েছেন।
কুষ্টিয়ায় নিহত শিশুর নাম খালিদ ইসলাম (৩)। সে শহরের কালীশংকরপুর এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে। মঠবাড়িয়ায় নিহত ব্যক্তির নাম আবু সরদার (৫৮)। তাঁর বাড়ি খায়েরঘটিচোরা গ্রামে। তিনি মধ্য গিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
কুষ্টিয়া: পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল নয়টার দিকে মেজ ভাইকে স্কুলভ্যানে তুলে দিতে খালিদ ইসলাম বাবা সাইদুল ইসলামের সঙ্গে বজলুর মোড় এলাকায় যায়। সেখানে সে পাশের মুদি দোকানে চানাচুর কিনতে যাচ্ছিল। পথে শহরের নিশান মোড় থেকে বজলুর মোড়ের দিকে আসা একটি ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পিরোজপুর: পুলিশ, হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আবু সরদার তাঁর বাড়ি থেকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে মঠবাড়িয়ায় যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মঠবাড়িয়া-মিরুখালী সড়কের হারজী এলাকায় মোটরসাইকেলটির সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আবু সরদার ও মোটরসাইকেলের চালক আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ফেরদৌস ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আবু সরদার মারা যান।

পদ্মা সেতুর ৩৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: সেতুমন্ত্রী







সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার বিষয়টি কর্মপরিকল্পনা অনুসারেই এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে সেতুর ২২টি পাইলিং স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর মোট কাজ হয়েছে ৩৭ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু এলাকায় আকস্মিক সফরে আসেন মন্ত্রী। তিনি নদীতে জাহাজ নিয়ে কাজের অগ্রগতি ও কর্মরত কর্মীদের নিরাপত্তাব্যবস্থা ঘুরে দেখেন।
এরপর ফিরে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় কর্মরত দেশি ও বিদেশি কর্মীদের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে তিনি আবার ঢাকার উদ্দেশে ফিরে যান।

এরদোয়ান এ যুগের সুলতান সুলেমান?

সুলতান সুলেমান। তুরস্কের ৬০০ বছরের অটোমান সাম্রাজ্যের অন্যতম সফল শাসক। একটি টিভি সিরিয়ালের বদৌলতে নামটি এখন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বেশ পরিচিত। সম্প্রতি সমর্থকদের রাস্তায় ডেকে এনে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দিয়ে আলোচনায় আছেন ওই দেশেরই বর্তমান শাসক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দুই শাসকের মধ্যে কিছু বিষয়ে মিল থাকায় অনেকের মনে প্রশ্ন—এরদোয়ান কি এই যুগের সুলতান সুলেমান?



এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে অটোমান সম্রাট সুলতান সুলেমানের শাসনামলে একটু ঢুঁ মারতে হবে। ১২৯৯ সালে যাত্রা শুরু করা অটোমান সাম্রাজ্যের দশম শাসক ছিলেন সুলতান সুলেমান। প্রায় পাঁচ দশক সাম্রাজ্য শাসন করেছেন তিনি। তাঁর সময়ে অটোমানরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিমান হয়ে ওঠে। ইউরোপের রোম, হাঙ্গেরিসহ অনেক অঞ্চল অটোমানদের অধীনে আসে। ইউরোপে নিজেদের শক্তিশালী অবস্থান জানান দেয় তুরস্ক।

এরদোয়ানও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে ওঠার কৌশল নিয়েছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উত্থান থেকে তিনি সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে। সিরিয়া ও ইরাকের একটি বড় ভূখণ্ড দখল করে খেলাফত ঘোষণা করেছে আইএস। এই দুই দেশের ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের সঙ্গে মতাদর্শগত ভিন্নতা আছে এরদোয়ানের, ইরাক ও সিরিয়ার ক্ষমতাসীনরা শিয়াপন্থী আর এরদোয়ান সুন্নিপন্থী। তিনি সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাতে আইএসের হামলায় সমর্থন দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বরাবরই তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আইএসকে তাঁর নীরব সমর্থনের কারণ হিসেবে বলা হয়, সিরিয়া ও ইরাক থেকে লুট করা জ্বালানি প্রচলিত মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে তুরস্কের কাছে বিক্রি করে আইএস। এতে তুরস্কের অর্থনীতি অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে। নিত্যপণ্যের মূল্য আয়ত্তে থাকায় জনগণও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ওপর বেশ খুশি।

জনগণের এই সন্তুষ্টিকে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে বেশ কৌশলে কাজে লাগিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ১৫ জুলাই রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ যখন ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান নিয়ে রাজধানী আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অভ্যুত্থান করে, তখন অবকাশে থাকা প্রেসিডেন্ট তাঁর আইফোনে ‘ফেসটাইম’ অ্যাপ ব্যবহার করে সিএনএন তুর্কির সঙ্গে সংযুক্ত হন। সমর্থকসহ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, রাস্তায় নেমে আসার। এই অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেওয়ার। এরপর দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। জনগণ রাস্তায় নেমে এসে সেনাদের অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেয়।

সুলতান সুলেমান তখনকার ক্ষমতাশালী ইউরোপকে চাপের মুখে রেখেছিলেন। আর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখন পশ্চিমা বিশ্বে শক্তিশালী তুরস্ককে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। একসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা তুরস্ক এখন নিজের একক শক্তিশালী অবস্থার কথা জানান দিতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক যেমন রেখেছেন, তেমনি বিপরীত মেরুর শক্তি রাশিয়ার সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছেন এরদোয়ান। এভাবেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলছে।

ইসলাম ধর্মের প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগী ছিলেন সুলতান সুলেমান। একটু ভিন্নভাবে একই পথের অনুসারী এরদোয়ান। কারণ, ১৯২৩ সালে কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কের যাত্রা শুরু। দেশটিতে নিষিদ্ধ হয় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। কিন্তু ইসলামপন্থী এরদোয়ান রক্ষণশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক আদর্শের কথা বলে ২০০১ সালে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) গঠন করেন। তাঁর দল ২০০২, ২০০৭ ও ২০১১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। উদারপন্থী তুরস্ক তখন থেকে কিছুটা রক্ষণশীলতার দিকে যেতে থাকে। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন; পরে ওই বছরই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেন।

ক্ষমতার ব্যাপারে সুলতান সুলেমান ছিলেন আপসহীন। সামান্যতম আনুগত্যহীনতা, ষড়যন্ত্র বা ষড়যন্ত্রের আভাসও তিনি বরদাশত করতেন না। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন—এমন অভিযোগে তিনি তাঁর বন্ধু ও উজিরে আজম (প্রধানমন্ত্রী) ইব্রাহিম পাশা এবং সিংহাসনের প্রথম উত্তরাধিকারী বড় ছেলে শাহজাদা মোস্তাফার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। এখানেও কেমন যেন মিল পাওয়া যায় এরদোয়ানের সঙ্গে। সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় ১০৪ সেনাসদস্যসহ প্রায় ৩০০ লোকের প্রাণহানির পর প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অভিযোগের আঙুল তোলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু ফেতুল্লাহ গুলেনের দিকে।

দেশটিতে এরদোয়ান জরুরি অবস্থা জারি করেছেন গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে। সরকার, সশস্ত্র বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক, বহিষ্কার বা সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানের অজুহাতে তিনি মূলত তুরস্কের উদারপন্থী অংশকে কোণঠাসা করতে চাইছেন। দেখিয়ে দিতে চাইছেন, তাঁর বিরোধিতার পরিণাম কী হতে পারে।

হাসিনাকে মোদি নিজেকে একা ভাববেন না

 সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ভারত সব সময় থাকবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, নিজেকে কখনো একা ভাববেন না, এমন পরীক্ষার সময় (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই) ভারত আপনার পাশেই আছে।


আজ বৃহস্পতিবার বেনাপোল স্থলবন্দরের সংযোগ সড়ক দিয়ে ভারতের নবনির্মিত পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যুক্ত ছিলেন।

ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে কিছু কথা বাংলায় বলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি। এরপরই বাংলায় বাংলাদেশের মানুষকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছাও জানান তিনি। পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা ও কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা, মন্দিরে, পুরোহিত, সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলারও নিন্দা জানান মোদি। হামলায় হতাহত নিরীহ মানুষের সঙ্গে পুরো ভারতের মানুষের সমবেদনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পরে হিন্দিতে বক্তব্যে দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই পরীক্ষার সময় পুরো ভারত আপনার সঙ্গেই আছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যেভাবে ধৈর্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে আমি মন থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনার নেতৃত্ব পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের এই লড়াইয়ে আপনি কখনো নিজেকে একা ভাববেন না, ভারতের পূর্ণ সমর্থন আপনার সঙ্গে আছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এটাও আশ্বাস দিতে চাই যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপনার এই যে লড়াই তাতে ভারত আপনাকে সব ধরনের সহায়তা দিতে সব সময় প্রস্তুত। মাননীয়, আমরা এখন এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখান শুধু আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোই এক নয়, আমাদের বিকাশের পথও একসঙ্গে জড়িত। সেই সঙ্গে আমাদের সমান সম্ভাবনাও রয়েছে।

বেনাপোল-পেট্রাপোল পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি। শুধু এখানে নয়, এর আগে আগরতলায়ও ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি মনে করি আর্থিক বিকাশ ও কানেক্টিভিটি একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। এই বন্দর শুধু বাণিজ্যকে না বরং আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যেও সম্পর্কের বিকাশ ঘটাবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিকাশে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। এই বন্দর দুই দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে মনে করেন তিনি।

অগ্রণীর এমডিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত

 মেয়াদের শেষ সময়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিজ ক্ষমতাবলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নর ফজলে কবির।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করায় শুনানি শেষে তাঁকে অপসারণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। তাতেই গতকাল বুধবার বিকেলে অনুমোদন দেন গভর্নর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চিঠি দিয়ে তাঁকে অপসারণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ১০ জুলাই তাঁর মেয়াদ শেষ।
এর আগে নিজ ক্ষমতাবলে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য বেসিক ব্যাংকের এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করেছিলেন তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান।
গতকাল দুপুর ২টায় অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা থাকলেও চেয়ারম্যান জায়েদ বখ্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকায় সময়মতো সভা শুরু হয়নি। পরে বিকেল ৪টায় চেয়ারম্যান ফিরলে কুশল বিনিময় হয়, তবে সভার আলোচ্যসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এরপর বিদায় নেন আবদুল হামিদ। এদিকে এমডি অপসারণ হতে পারেন—এমন আশঙ্কায় অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি ও অগ্রণী ব্যাংক কর্মচারী সংসদ সিবিএ আজ বৃহস্পতিবার আবদুল হামিদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছুটিতে আছেন বলে জানান। অন্য দায়িত্বশীল কেউ নাম প্রকাশ করে কিছু বলতে রাজি হননি। শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী একক ক্ষমতাবলে গভর্নর অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।’
সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত যথাসময়ে জানানো হবে।’
জানা গেছে, অগ্রণী ব্যাংকের এমডিকে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৬ ধারা অনুযায়ী কেন অপসারণ করা হবে না, জানতে চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। পরে তিনি জবাব দিলে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি তার শুনানি করে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ৯০৬ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ আনা হলেও পরে ৭৯২ কোটি টাকা অনিয়মের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৪৩৫ কোটি টাকা ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। শুনানি শেষে ২১ জুন স্থায়ী কমিটি তাঁকে অপসারণের জন্য গভর্নরের কাছে সুপারিশ জমা দেয়। গভর্নর ফজলে কবির গতকাল বুধবার বিকেলে তাতে অনুমোদন দেন।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৪৬ ধারা অনুযায়ী গভর্নর অপসারণের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদের নিকট আপিল করতে পারবেন।
গত বছরের জুলাইয়ে নিয়ম ভেঙে আবদুল হামিদের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘১১ জুলাই থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পদে সৈয়দ আবদুল হামিদের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজন নেই।’ যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাঁর মেয়াদ বাড়াতে আপত্তি ছিল।
জানা গেছে, ২০১১ সালে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ প্রধান শাখা থেকে তানাকা ট্রেডকম ইন্টারন্যাশনালকে ১২০ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা দেয়। পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই এমডি নিজে জামানত পরিবর্তন করে দেন। যদিও এ ক্ষমতা তাঁর ছিল না। এরপর ২০১৫ সালে ১১ কোটি টাকা ঋণ নবায়ন করে দেন এমডি, পাশাপাশি ৪৬ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হওয়ার পরও নিয়মিত দেখানো হয়। ঋণঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৩ লঙ্ঘন করে ২০০ কোটি টাকা ঋণপত্র সীমা দুবার নবায়ন করেন এমডি। এ ছাড়া সানমুন গ্রুপের কর্ণধার মিজানুর রহমান মিজান ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ব্যাংককে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। এমন কয়েকটি অনিয়মের কারণেই তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে

 বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং–বিষয়ক প্রশিক্ষণদাতা প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জন-কায়ো ফেবিগ সম্প্রতি এ কথা বলেন।
ফেবিগ বলেন, বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন। ২০২০ সাল নাগাদ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। কাজের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রচলিত কাজ ছেড়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে ঢুকছেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেছে। পাঁচ লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন। এই মার্কেটপ্লেসে দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরিতে কাজ করছে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর শুরুতেই প্রায় ২৫০ ডলার করে কাজ পাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সাররা।
কোডারট্রাস্ট থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রাতুল রায়হান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির লারন অ্যান্ড আর্ন পাথ নামের একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে তিনি কোডিং শেখেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি আয়ত্ত করেন। কোর্স চলাকালে সময়েই তিনি ২৫০ মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ পান। বর্তমানে তাঁর মাসিক আয় এক হাজার ডলারের বেশি।
রাতুল বলেন, দক্ষ হয়ে তারপরই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর প্ল্যাটফর্ম হতে পারে কোডারসট্রাস্ট।
কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সব সময় সহযোগিতার পাশাপাশি পুরো পেশাদার মানসিকতা তৈরি করে দিতে ও উৎসাহ দিতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই সময়ের মধ্যে ৫০০ জনেরও বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোডারসট্রাস্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাঁদের অনলাইন কাজ বিক্রি করতে পারেন এবং এখান থেকে শিখতেও পারেন। কোডারসট্রাস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার লিংক (https://www.coderstrust.com/)। কোডারসট্রাস্টে বর্তমানে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড, এসইও অ্যান্ড এসএমএমসহ মোট ছয়টি কোর্স চালু আছে। (বিজ্ঞপ্তি)

বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে গুগল

 

 বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে অনুরোধে সাড়া দিয়েছে গুগল। গত সোমবার গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে যে অনুরোধ পাঠানো হয়, তা জনগণকে জানাতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে গুগল।

গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রথমবারের মতো গুগলের কাছে বাংলাদেশ থেকে কোনো অনুরোধ যায়। বাংলাদেশের সেই অনুরোধে গুগল সাড়াও দিয়েছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে মোট দুবার গুগলকে অনুরোধ জানানো হয়। এর মধ্যে একবার তিনটি অনুরোধে চারটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, যা গুগলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। পরে চারটি অনুরোধে নয়টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে তা সরবরাহ করে গুগল। এই চারটি অনুরোধকে গুগল বলছে ‘ইমারজেন্সি ডিসক্লোজার রিকোয়েস্ট’ আর প্রথম তিনটি রিকোয়েস্ট ছিল ‘লিগাল রিকোয়েস্ট’।

এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে গুগলের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার হার রেকর্ডসংখ্যক বেড়ে গেছে। গত বছরের শেষ ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বরের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে গুগলের ওই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে গুগল বলেছে, ২০১৫ সালের শেষ ছয় মাসে গুগলের কাছে ৪০ হাজার ৬৭৭টি অনুরোধে ৮১ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ৩৫ হাজার অনুরোধে ৬৯ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।

গুগল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আমাদের সেবা ব্যবহার প্রতিবছর বাড়ছে। একই সঙ্গে ব্যবহারকারীর তথ্য চাওয়ার পরিমাণও। তবে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।

তথ্য চাওয়ার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র—১২ হাজার ৫২৩ অনুরোধ করেছে দেশটি। এরপর ৭ হাজার ৪৯১ অনুরোধ করে দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি, ৪ হাজার ১৭৪ অনুরোধে তৃতীয় ফ্রান্স ও ৩ হাজার ৪৯৭ অনুরোধে চতুর্থ যুক্তরাজ্য।

এক তরুণের হারিয়ে যাওয়ার গল্প

এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন বলে পরিবারকে জানিয়েছিলেন মেহেদী হাসান। কিছুদিন পর জানালেন, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কলেজে ভর্তির জন্য তাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাবা মো. মহসিন এলেন ঢাকায়। গেলেন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তির ফরম দিয়ে তাঁর কাছে পিন নম্বর চাইল। টয়লেট থেকে এসে দিচ্ছেন—এমনটা বলে বের হয়ে গেলেন মেহেদী। এরপর আর কোনো সন্ধান ছিল না তাঁর।










গত ১৯ জুন ঘটে যাওয়া এ ঘটনাটি পরদিন উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশকে জানান মো. মহসিন। থানায় নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে থেকে মেহেদীকে উদ্ধার করেছে উত্তরা থানার পুলিশ। রাতেই বাবা মহসিনের কাছে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে গত রাতে র‍্যাব থেকে প্রকাশিত নিখোঁজের তালিকার ১৮ নম্বরে ছবিসহ স্থান পেয়েছেন মেহেদী।
মেহেদীর বাবা মো. মহসিন কুমিল্লার হোমনা থানার ভাষানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে মেহেদী সবার বড়।
উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুখলেসুর রহমান আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠার পর ভালো পড়াশোনার জন্য মেহেদীকে তার পরিবার কুমিল্লা শহরে পাঠায়। মেহেদী ভর্তি হন কুমিল্লা মডার্ন স্কুলে। ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণিতে ওঠেন দ্বিতীয় হয়ে। কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে উঠতে গিয়ে ১২তম হন মেহেদী। এরপর ক্লাসে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্কুল থেকে তাঁকে বের দেওয়া হয়। কিন্তু এই সবকিছুই মেহেদী তাঁর পরিবারকে জানাননি।
মুখলেসুর রহমানের ভাষ্য, মেহেদী পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে পরিবারকে জানান। তাঁর বাবাও গ্রাম থেকে তাঁকে প্রতি মাসে টাকা পাঠাতেন। পরিবার নম্বরপত্র দেখতে চাইলে তিনি তাঁর এক বন্ধুর নম্বরপত্র দেখাতেন পরিবারকে। অন্য নামের ব্যাখ্যা হিসেবে পরিবারকে বলতেন যে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর তিনি নাম পাল্টিয়েছেন। একই পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন বলে জানান পরিবারকে।
এসআই মুখলেসুর আরও বলেন, কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় বাবা সঙ্গে আসায় বিপাকে পড়েন তিনি। কারণ, এসএসসি তিনি পাস করেনি। অষ্টম শ্রেণির পর থেকেই পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তাই পালিয়ে যান তিনি। পরে রাজলক্ষ্মী মার্কেট এলাকায় একটি দোকানে কাজ নেন। গতকাল সেখানে তাঁকে তাঁর এলাকার এক লোক দেখে চিনতে পারেন। ওই ব্যক্তি সে কথা পরিবারকে জানান। পরিবার থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসে।
মেহেদীর বাবা মো. মহসিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি তাঁর ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন। এখন আর তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান না।
পুলিশের বিমানবন্দর অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. আবদুল্লাহিল কাফী প্রথম আলোকে বলেন, ছেলে শহরে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দিয়েই মেহেদীর পরিবার মনে করেছে যে তাদের কাজ শেষ। টাকা দিয়েছে। কিন্তু তারা ঠিকভাবে তাঁর খোঁজখবর রাখেনি বলেই এমনটা হয়েছে।

গুলশানে হামলাকারীদের খোঁজ পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র

 

গুলশানে জঙ্গি হামলাকারী ও তাদের মদদদাতাদের ধরে শাস্তি দেওয়া কঠিন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আজকে যেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আমরা পেয়েছি এবং সবাই যৌথভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবিলার জন্য একতাবদ্ধ, সেহেতু এগুলো খুঁজে বের করা খুব বেশি কঠিন হবে না...এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সাংসদ গাজী গোলাম দস্তগীর গাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জঙ্গি হামলার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, কয়েকজন ওই দিনই মারা গেছে। বাকি কয়েকজনকে শনাক্ত করতে ও ধরতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জঙ্গিদের ধরার ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কিছু মানুষের ছবি যারা শনাক্ত করতে পারবেন, তাঁরা যেন তথ্যগুলো জানান। জানালে যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের তো ধরা যাবেই, পাশাপাশি পর্দার আড়ালে যারা, যারা এর মদদদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী, যারা প্রশিক্ষণ প্রদান করছে, যারা অর্থ দিচ্ছে, তাদেরও খুঁজে বের করতে হবে। তারা আমাদের দেশের হোক, বিদেশের হোক, তাদের খুঁজে বের করা অবশ্যই কর্তব্য। আমি বিশ্বাস করি, এদের আমরা ধরতে পারব এবং উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা থাকার মধ্যেও তিনি সরকার গঠনের পর বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে। সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কিন্তু ২০১৫ সালে বাসে আগুন, রেলগাড়িতে আগুন, মানুষ পুড়িয়ে মারা; ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধের নামে যেসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করা হয়েছে, মানুষ হত্যা করা হয়েছে, সব কটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘তবে আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করছি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করেছি। যার ফলে অতি অল্প সময়ে এ অবস্থার মোকাবিলা করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সক্ষম হয়েছি; যাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা, বিশ্বাস সৃষ্টি হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, গুলশান হামলার পর বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো নিন্দা জানিয়েছে। তারা বাংলাদেশের পাশে আছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

এসব হামলাকারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আসলে বিশ্বব্যাপী এখন ঘটছে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা ঘটাচ্ছে, তারা সত্যিকারভাবে এ দেশের উন্নতি চায় না, অগ্রগতি চায় না। স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে, এরা আসলে সেই স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলে আমার বিশ্বাস। নইলে এ ধরনের অমানবিক, কাপুরুষোচিত ঘটনা এভাবে বাংলাদেশে ঘটবে, এটা সত্যিই কল্পনাতীত।’

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে সমাপনী আগের মতোই

পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও অষ্টম শ্রেণি শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত বদলের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শিক্ষাবিদেরাও বলছেন, শিশুদের সঙ্গে এভাবে ছেলেখেলা করাটা ঠিক হয়নি।
গত মাসে প্রথমে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, শেষবারের মতো এ বছর পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেবে। কয়েক দিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত গতকাল সোমবার নাকচ করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে এ বছরও পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণি শেষে আগের মতোই সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা হবে।
মন্ত্রিসভা বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে বলেছে। মন্ত্রিসভার একাধিক জ্যেষ্ঠ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গতকালের বৈঠকে প্রায় সোয়া ঘণ্টা ধরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের কয়েকজন আকস্মিক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর নির্ধারণের বিষয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁরা বলেন, শিক্ষার স্তর পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত প্রস্তুতি ছাড়াই নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু অবকাঠামোয় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আবার পাশের স্কুলে সংযুক্তি দেওয়ার সুযোগও সর্বত্র নেই। এ ছাড়া হাওর-বাঁওড়, চর ও অনগ্রসর এলাকার কথা ভাবা হয়নি। মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পাস করা প্রাথমিকের শিক্ষক কীভাবে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াবেন, সেসব বিষয় ভাবা হয়নি।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক প্রমুখ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব হু্মায়ূন খালিদ এ সময় প্রশ্নের মুখে পড়েন।
জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেনি মন্ত্রিসভা। এখনকার মতোই প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা চলতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার স্তর পরিবর্তনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরে চূড়ান্ত করা হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দুটি পরীক্ষা বহাল রাখার পাশাপাশি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার স্তর নির্ধারণের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে গেল। গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে এই স্তর ঠিক করেছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই স্তরের শিক্ষা দেখভাল করবে বলেও সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম একটি শিক্ষানীতি পেয়েছিলাম, যেটি ২০১১ থেকে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এত দিন পর সেটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে তা আটকে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি হতাশাজনক। পরীক্ষা বাতিল করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো প্রয়োজন ছিল না।’
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী আরও বলেন, ‘আমরা শিশুদের শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষার্থী বানিয়ে ফেলেছি। তাদের আবার জিপিএ-৫-এর ফাঁদের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। আর এই পরীক্ষা বহাল থাকায় কোচিং-বাণিজ্য ও সৃজনশীল গাইড-বাণিজ্যওয়ালারা লাভবান হবে।’
গতকালের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলাপ-আলোচনা করেই তাঁরা একটি পরীক্ষার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এখন মন্ত্রিসভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দুটি পরীক্ষাই থাকবে। এ বছর দুটি পরীক্ষাই হবে।
এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হতে কোনো বাধা আছে কি না—জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তা হবে কেন, এটা ধাপে ধাপে হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত হয়েই বলছি, এ বছর থেকেই পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা আর থাকবে না। একেবার অষ্টম শ্রেণি শেষে হবে এই পরীক্ষা।’
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে। এটা করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ধাপে ধাপে করা হবে। প্রক্রিয়া মাত্র শুরু হলো।’ তিনি বলেন, ‘পঞ্চম ও অষ্টমে দুটি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত ছিল শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা, আত্মবিশ্বাসী করা। হঠাৎ বন্ধ করে দিলে আগ্রহ কমে যাবে। এ জন্য আস্তে আস্তে বিষয়গুলো করা হবে।’
দেশের শিক্ষাবিদেরা শুরু থেকেই এই দুটি পরীক্ষার বিরোধিতা করে আসছেন। তাঁরা বলছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি এই দুটি পরীক্ষা যুক্ত করায় লেখাপড়া পরীক্ষানির্ভর হয়ে গেছে।
অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা ও উদ্দেশ্যবিহীন কাণ্ড করা উচিত হয়নি। পরীক্ষাকেন্দ্রিক পড়াশোনায় শিশু-কিশোরদের সৃজনশীল আগ্রহ চলে যায়। তাই সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে হলে পরীক্ষা কমাতে হবে। এতে কোচিং ও সৃজনশীল গাইডের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা কমবে। তিনি মনে করেন, জেএসসি পরীক্ষাও তুলে দেওয়া উচিত। কারণ, সনদ ও মুখস্থনির্ভর লেখাপড়া দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের উপযোগী শিক্ষিত নাগরিক তৈরি করা যাবে না।

সাঁড়াশি অভিযান শেষ, গ্রেপ্তার ১৯৪ জঙ্গি




দেশজুড়ে পুলিশের জঙ্গি বিরোধী বিশেষ অভিযান শেষ হয়েছে। সাত দিনের এই অভিযানে মোট ১৯৪ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান জানান, এদের মধ্যে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৫১ জন, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশে সাতজন, হিযবুত তাহরিরের ২১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ছয়জন, আনসার আল ইসলামের তিনজন, আল্লাহর দলের চারজন, হরকাতুল জিহাদের একজন ও আফগানিস্তান থেকে ফেরত একটি জঙ্গি সংগঠনের একজন সদস্য রয়েছেন।

পুলিশের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম দিনে জঙ্গি সন্দেহে ৩৭, দ্বিতীয় দিনে ৪৮, তৃতীয় দিনে ৩৪, চতুর্থ দিনে ২৬, পঞ্চম দিনে ২১ জন ও ষষ্ঠ দিনে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ধরা পড়েছে ১৭ জঙ্গি। এদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, একটি শাটারগান, একটি, দুটি ককটেল, একটি রামদা, একটি চাপাতি ও ১৪টি উগ্রপন্থী বই উদ্ধার করা হয়েছে।


সারা দেশে ১০ জুন থেকে পুলিশের বিশেষ এই ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়। এর আগের দিন ৯ জুন পুলিশের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সেটাকে ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। ১০ জু​ন অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতে জঙ্গিবিরোধী বিশেষ অভিযান বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসংক্রান্ত সপ্তাহব্যাপী (৬-১৩ জুন) বিশেষ অভিযান গত সোমবার শেষ হয়েছে।


দুই ভাইয়ের কোমরে সাড়ে ১৪ কেজি সোনা




রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে ১৪ কেজি সোনাসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, আটক সোনার মূল্য সাত কোটি ১৬ লাখ টাকা। যাত্রীরা দুই ভাই। তাঁরা কোমরে বাধা বিশেষ বেল্টের মধ্যে সোনার বার ও অলংকার লুকিয়ে এনেছিলেন।

যাত্রীরা হলেন মামুন খান (৩৯) ও মুরাদ খান (৩০)। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসার পর ঢাকা কাস্টমস হাউসের প্রিভেনটিভ দল তাঁদের আটক করে।

প্রিভেনটিভ দলের প্রধান ও ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, মামুন ও মুরাদ টাইগার এয়ারের টিজি ৩২১ নম্বর ফ্লাইটে করে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আসেন। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এই দুই যাত্রীকে তল্লাশি করা হয়। তাঁরা কোমরে বিশেষ একটি বেল্টের মধ্যে সোনার বার ও অলংকার লুকিয়ে রেখেছিলেন। এগুলোর মোট ওজন ১৪ কেজি ৩৩০ গ্রাম।

রেজাউল করিম জানান, উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে চার কেজি ৬০০ গ্রাম বার ও সাড়ে নয় কেজির বেশি সোনার গয়না রয়েছে। একটি সোনার বারের ওজন এক কেজি। এ ছাড়া ১০০ গ্রাম ওজনের ৩৮ টি বার রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


No comments:

Post a Comment